home

বুধবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২০

সেকুলারদের কথা ফ্রান্স হচ্ছে গণতন্ত্র এর দেশ

 দুনিয়াব্যাপী সেকুলারদের একটা বয়ান হচ্ছে ফ্রান্স হচ্ছে গণতন্ত্র এবং লিবার্টি বা স্বাধীনতার ধারক-বাহক।
ফ্রান্স টিকেই আছে আফ্রিকাকে শোষণ করার মধ্য দিয়ে। এটা গোপন কিছু না। সময়ে সময়ে ফরাসিরা নিজেরাও এটা স্বীকার করে। ১৯৫৭ সালে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিতেঁরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, আফ্রিকার উপর নিয়ন্ত্রণ টিকিয়ে রাখতে না পারলে একবিংশ শতাব্দীর ইতিহাসে ফ্রান্সের কোনো জায়গা থাকবে না।

পাঁচ দশক পর তার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট জ্যাক শিরাক ২০০৮ সালে সেটা আবারও নিশ্চিত করে বলেছিলেন, আফ্রিকা না থাকলে ফ্রান্স তৃতীয় বিশ্বের তালিকায় ছিটকে পড়ত। তিনি পরিষ্কারভাবেই স্বীকার করেছিলেন, ফ্রান্সের ব্যাঙ্কগুলোতে যে টাকা আছে, তার একটা বড় অংশ আসে আফ্রিকান রাষ্ট্রগুলোকে শোষণ করার মধ্য দিয়ে।

কীভাবে ফ্রান্স আফ্রিকাকে শোষণ করছে? প্রধানত কলোনিয়াল মুদ্রা সিএফএ ফ্রাঙ্কের (CFA Franc – Franc of the French Colonies in Africa) মাধ্যমে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে যখন আফ্রিকাজুড়ে কলোনিগুলো স্বাধীনতা দাবি করে, তখন ব্রিটিশ, স্প্যানিয়ার্ড এবং ইতালিয়ানরা তুলনামূলকভাবে সহজেই তাদেরকে স্বাধীনতা দিয়ে ফিরে যায়। কিন্তু ফ্রান্স ছিল ব্যতিক্রম। তারা তাদের কলোনিগুলোকে স্বাধীনতা দেয় এই শর্তে যে, স্বাধীন রাষ্ট্রগুলোকে তারা অর্থনৈতিক এবং সামরিক দিক থেকে সহযোগিতাকরবে।

সামরিক ক্ষেত্রে এই সহযোগিতার অর্থ ছিল, ফরাসি সেনাবাহিনী স্বাধীনতার পরেও আফ্রিকান রাষ্ট্রগুলোতে অবস্থান করবে, তাদের পুলিশ এবং সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিবে, বিনিময়ে রাষ্ট্রগুলোকে তাদের সকল অস্ত্র ক্রয় করতে হবে কেবলমাত্র ফ্রান্সের কাছ থেকে।

আর অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এই সহযোগিতার অর্থ ছিল, স্বাধীন রাষ্ট্রগুলোকে তাদের মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করতে হবে সিএফএ ফ্রাঙ্ক। শুধু তাই না, রাষ্ট্রগুলোর যেকোনো প্রাকৃতিক সম্পদ উত্তোলনের ক্ষেত্রে, যেকোনো বড় প্রজেক্ট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আগে ফ্রান্সকে প্রস্তাব দিতে হবে।

সিএফএ ফ্রাঙ্ক মুদ্রাটি নিয়ন্ত্রণ করে ফ্রেঞ্চ ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট। আর সে কারণে আফ্রিকায় ফ্রান্সের ১৪টি সাবেক কলোনিকে আজও তাদের ফরেন রিজার্ভের অর্ধেক (আগে ছিল ৬৫%, তারও আগে ৮৫%) জমা রাখতে হয় ফ্রেঞ্চ ট্রেজারির কাছে।

দেশ চালানোর জন্য তাদের যদি অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হয়, তাহলে তাদেরকে সেটা ঋণ নিতে হয় ফ্রান্সের কাছ থেকেই। এবং সেই ঋণের সুদ শোধ করতে করতেই তাদের বাকি জীবন অতিবাহিত হয়। চক্রে আটকা পড়ে যায় তাদের জীবন।

ভাবতে পারেন, আফ্রিকান রাষ্ট্রগুলো কেন এই ব্যবস্থা মেনে নিচ্ছে? কেন তারা এই সিস্টেম থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে না? উত্তরটা হচ্ছে, অনেকেই চেষ্টা করেছিল। তাদের পরিণতি ভালো হয়নি।

স্বাধীনতার পর সেকু তুরের নেতৃত্বে গিনি ফ্রান্সের আধিপত্য মেনে নিতে রাজি হয়নি। ১৯৬০ সালে তারা ফ্রাঙ্ক জোন ছেড়ে বেরিয়ে যায়। প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ফ্রেঞ্চ সিক্রেট সার্ভিস জাল মুদ্রা সরবরাহ করে গিনির অর্থনীতি পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়।

সিলভানাস অলিম্পিওর নেতৃত্তে টোগোও স্বাধীনভাবে পথ চলার উদ্যোগ নেয়। স্বতন্ত্র টোগোলিজ মুদ্রা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৬৩ সালের ১২ই ডিসেম্বর তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে। পরের দিন সকালে ফরাসিদের দ্বারা প্রশিক্ষিত টোগোলিজ সেনারা অলিম্পিওকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করে।

এটা ছিল সাবেক কলোনিগুলোতে সংঘটিত ফ্রান্সের প্রথম ক্যু, পরবর্তীতে যার পুনরাবৃত্তি হয়েছে অনেকবার।

আফ্রিকার প্রতিটি সাবেক কলোনিতে ক্যু এবং পাল্টা ক্যুয়ের মাধ্যমে ফ্রান্স নিজেদের অনুগত স্বৈরশাসকদেরকে ক্ষমতায় বসিয়ে রেখেছে, আর তাদের মাধ্যমে খনিজ সম্পদে পরিপূর্ণ আফ্রিকার সম্পত্তি লুট করে যাচ্ছে।

১৯৬৪ সালে ফ্রান্স গ্যাবনে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ওমার বঙ্গোকে ক্ষমতায় বসায়, যার শাসনব্যবস্থা চলে পরবর্তী ৪২ বছর পর্যন্ত। গ্যাবনের গুরুত্ব কী? গ্যাবনে আছে বিশাল ইউরেনিয়ামের মজুদ। আর ফ্রান্সের নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টরগুলোর জন্য দরকার এই ইউরেনিয়াম।

ওমারের মৃত্যুর পর আজও গ্যাবনের ক্ষমতায় আছে তার ছেলে আলি ওমার বঙ্গো। ফ্রান্সের প্রতি তাদের আনুগত্যের বিষয়টা প্রকাশ পায় ওমার বাঙ্গোর একটা উক্তি থেকে। যেখানে জ্যাক শিরাক নিজেই আফ্রিকাকে শোষণের কথা স্বীকার করেছিলেন, সেখানে বাঙ্গো বলেছিলেন, গ্যাবনকে ছাড়া ফ্রান্স হচ্ছে ড্রাইভার ছাড়া গাড়ির মতো, আর ফ্রান্সকে ছাড়া গ্যাবন হচ্ছে জ্বালানী ছাড়া গাড়ির মতো।
অথচ বাস্তবে ফ্রান্সই দশকের পর দশক ধরে গ্যাবনের কাছ থেকে ইউরেনিয়াম জ্বালানি আদায় করে নিচ্ছে অত্যন্ত সুলভ মূল্যে।

এই সুলভ মূল্যে যদি কেউ রাজি না হয়, তাহলে তার ভাগ্যেও জুটতে পারে অভ্যুত্থান। সেটাই ঘটেছিল নাইজারের প্রেসিডেন্ট মামাদু তানজার ভাগ্যে। ফ্রান্সের দেওয়া মূল্য কম মনে হওয়ায় ২০০৯ সালে তিনি ইউরেনিয়ামের মূল্যের ব্যাপারে চীনের সাথে দরদাম শুরু করেছিলেন। কয়েক মাসের মধ্যেই তাকে বিদায় নিতে হয়।

২০১১ সালে বিদায় নিতে হয় আইভরি কোস্টের প্রেসিডেন্টকেও। সেখানেও একই কারণ। তবে ইউরেনিয়াম না, আইভরি কোস্ট হচ্ছে ফ্রান্সের প্রধান কফি এবং কোকো সরবরাহকারী রাষ্ট্র।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ফ্রান্স এ পর্যন্ত ৩০টিরও বেশি সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে। আফ্রিকার প্রায় প্রতিটা অভ্যুত্থান, প্রতিটা গুপ্তহত্যার পেছনে ফ্রান্সের কোনো না কোনো ভূমিকা আছে।

এবং এটা শুধু মধ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ না। ২০১১ সালে গাদ্দাফিকে উৎখাত করার পেছনেও প্রধান ভূমিকা পালন করেছিল ফ্রান্স। সে সময় আমেরিকার ভূমিকা ছিল লিডিং ফ্রম বিহান্ড। ওবামা প্রশাসন ছিল দ্বিধাবিভক্ত। কিন্তু ফ্রান্স একেবারেই শুরু থেকেই ছিল আগ্রাসী।

ফ্রান্সই সর্বপ্রথম লিবিয়ার বিদ্রোহীদেরকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। ফ্রান্সই জাতিসংঘের রেজোল্যুশন ড্রাফট করেছিল। এবং সেই রেজোল্যুশন পাশ হওয়ার আগেই ফ্রান্স তার যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে দিয়েছিল বেনগাজির দিকে অগ্রসর হতে থাকা গাদ্দাফির বাহিনীর উপর হামলা করার জন্য।

গাদ্দাফির মৃত্যুর পরে আমেরিকা লিবিয়া থেকে নিজেকে অনেকটাই গুটিয়ে নিয়েছে। কিন্তু ফ্রান্স দিনে দিনে তার ইনভলভমেন্ট আরো বৃদ্ধি করেছে। আমেরিকার অক্সিডেন্টাল অয়েল অ্যান্ড গ্যাস লিবিয়া ছেড়ে যাওয়ার সময় নিজেদের শেয়ার বিক্রি গেছে ফ্রান্সের টোটালের কাছে।

কিন্তু এটা ঘটেছে বৈধভাবে। আর অবৈধভাবে ফ্রান্স লিবিয়ার দক্ষিণে স্বর্ণের খনি থেকে স্বর্ণ উত্তোলন এবং চোরাচালান করে নিয়ে যাচ্ছে কোনো নজরদারি ছাড়াই। প্রায় কোনো মিডিয়াতেই এটা পাওয়া যায় না, কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলের স্থানীয় লিবিয়ানদের কাছ থেকে শোনা যায়, সেখানে আফ্রিকানদেরকে দিয়ে স্বর্ণ উত্তোলন করানোর এই কার্যক্রমের পেছনে ফরাসি কোম্পানিগুলোই দায়ী।

 Live: Paris' Eiffel Tower reopens to public - CGTN


উৎসঃ ইসলামিক অনলাইন মিডিয়া

সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২০

ফরা‌সি পন্য বর্জনের ডাক

 হজরত মুহাম্মদকে (সা.) ও ইসলাম অবমাননার পদক্ষেপে সমর্থন দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এ ঘটনায় পুরো মুসলিম বিশ্ব ক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন। বেশ কয়েকটি আরব দেশ ফ্রান্সের পণ্য বয়কটেরও ডাক দিয়েছে।
 তুর্কিদের ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এ ছাড়াও ইসলামবিরোধী ইস্যুতে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে থামানোর জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দদের আহ্বান জানিয়েছেন ন্যাটো জোটের এই মিত্র দেশটির প্রধান।
শনিবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট  এরদোয়ান বলেছিলেন,  ম্যাক্রোঁর সমস্যা রয়েছে। তার মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে পরীক্ষা করা দরকার।  তিনি বলেন, ফ্রান্সে যেমন ‘তুর্কি ব্র্যান্ড’র পণ্য ক্রয় না করা জন্য বলা হচ্ছে; ঠিক তেমনই আমিও তুরস্কের সব নাগরিককে একই ধরনের আহ্বান জানিয়ে বলছি, কখনই কোনো ফরাসি ব্র্যান্ডকে সহায়তা করবেন না অথবা ফরাসি ব্র্যান্ড’র পণ্যসামগ্রী কিনবেন না।
এদিকে, অনেক আরব দেশেই ফরাসি জিনিস, বিশেষ করে মেক আপ সামগ্রী ও সুগন্ধী আর বিক্রি করা হচ্ছে না। শপিং মল বা দোকানের তাক খালি করে দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ডয়েচে ভেলের বাংলা সংস্করনের এক প্রতিবেদনে।

সুত্র : রয়টার্স ,ড‌য়েস ভে‌লে 

Source : Kalerkontho

ফ্রা‌ন্সের পন্য বর্জ‌নের আহবান

হজরত মুহাম্মদকে (সা.) ও ইসলাম অবমাননার পদক্ষেপে সমর্থন দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এ ঘটনায় পুরো মুসলিম বিশ্ব ক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন। বেশ কয়েকটি আরব দেশ ফ্রান্সের পণ্য বয়কটেরও ডাক দিয়েছে।
 তুর্কিদের ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এ ছাড়াও ইসলামবিরোধী ইস্যুতে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে থামানোর জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দদের আহ্বান জানিয়েছেন ন্যাটো জোটের এই মিত্র দেশটির প্রধান।
শনিবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট  এরদোয়ান বলেছিলেন,  ম্যাক্রোঁর সমস্যা রয়েছে। তার মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে পরীক্ষা করা দরকার।  তিনি বলেন, ফ্রান্সে যেমন ‘তুর্কি ব্র্যান্ড’র পণ্য ক্রয় না করা জন্য বলা হচ্ছে; ঠিক তেমনই আমিও তুরস্কের সব নাগরিককে একই ধরনের আহ্বান জানিয়ে বলছি, কখনই কোনো ফরাসি ব্র্যান্ডকে সহায়তা করবেন না অথবা ফরাসি ব্র্যান্ড’র পণ্যসামগ্রী কিনবেন না।
এদিকে, অনেক আরব দেশেই ফরাসি জিনিস, বিশেষ করে মেক আপ সামগ্রী ও সুগন্ধী আর বিক্রি করা হচ্ছে না। শপিং মল বা দোকানের তাক খালি করে দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ডয়েচে ভেলের বাংলা সংস্করনের এক প্রতিবেদনে।

সুত্র: রয়টার্স , ড‌য়ে‌চে ভে‌লে .

Source : Kaler kontho

শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২০

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত খুদে বিজ্ঞানীর সর্বোচ্চ সম্মাননা অর্জন



বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত  সাড়ে ৮ বছর বয়সী সুবর্ণ আইজ্যাক বারীকে বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী অধ্যাপক ও খুদে আইনস্টাইন বলা হয়। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পাওয়া এই খুদে বিজ্ঞানীকে গত ১৭ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের সর্বোচ্চ সম্মান জানানো হয়।
সুবর্ণ আইজ্যাক বারী
বিশ্বজুড়ে আলোচিত খুদে বিজ্ঞানী সুবর্ণের কাজের প্রতি সম্মান জানিয়ে সম্মাননার স্বীকৃতিপত্র দিয়েছেন নিউইর্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু ক্যুমো। করোনার কারণে প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে সেটি তার বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়।

সুবর্ণের পরিবার জানিয়েছে, প্রতিনিধিদল স্বীকৃতিপত্র পৌঁছে দেয়ার সময় গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সুবর্ণকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে তিনি কবে নাগাদ এ সাক্ষাৎ করছেন, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
এ স্বীকৃতিপত্রে বিশ্বের কনিষ্ঠ বিজ্ঞানী সুবর্ণের গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞানে অসামান্য অর্জন, সন্ত্রাস-বিরোধী প্রচারে অংশগ্রহণ, শান্তি প্রতিষ্ঠায় সচেতনতার ব্যবহারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিশ্বে ইতিবাচক পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় তাকে ‘চাইল্ড প্রডিজি’ হিসেবে পরিচিত বলেও বলা হয়।
এ ছাড়া ভ্রাতৃত্ব, প্রজ্ঞা ও সহানুভূতির দ্বারা গভীর চরিত্র এবং মূল্যবোধের সিঁড়ি আলাদা করায় নিউইয়র্কের পক্ষ থেকে সুবর্ণকে সম্মাননা জানানোর বিষয়টি তুলে ধরেন গভর্নর। তার ‘দ্য লাভ’ বইয়ে সব ধর্মের মধ্যে সম্প্রীতি ও সহনশীলতা জাগাতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে বলেও মনে করেন তিনি।
মা-বাবা এবং ভাইয়ের সঙ্গে সুবর্ণ
সুবর্ণ নিউইয়র্কে বসবাসকারী একটি বাংলাদেশি পরিবারে ২০১২ সালের এপ্রিল ৯ জন্মগ্রহণ করেন। খুব অল্প বয়সে পিএইচডি পর্যায়ের গণিত, পদার্থ ও রসায়ন বিজ্ঞানের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে বিশ্বব্যাপী সুখ্যাতি পান তিনি। এরপর তাকে শুভেচ্ছা জানান সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা থেকে শুরু করে বিভিন্ন খ্যাতনামা ব্যক্তিরা।
অক্সফোর্ড ও পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চিঠি লিখে শুভেচ্ছা জানায় সুবর্ণকে। ২০১৮ সালে তাকে খুদে বিজ্ঞানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। সুবর্ণকে বিজ্ঞানী হিসেবে ভারতের দিল্লিতে ‘গ্লোবাল চাইল্ড প্রডিজি অ্যাওয়ার্ড’ দিয়েছেন নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী। পদার্থবিজ্ঞানী হিসেবে তাকে দেশটির মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং অধ্যাপক পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
সুবর্ণর বাবা যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশি রাশীদুল বারী এবং মা শাহেদা বেগম। এই দম্পতি বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। রাশীদুল কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিতে পিএইচডি করে নিউ ইয়র্কের ব্রোনক্স কলেজের গণিতের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। এই পরিবারের দ্বিতীয় সন্তান সুবর্ণ।

Source: 24 live

বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২০

সুদান ও ইসরাইল সম্পর্ক



 কাছে টানার চেষ্টা করছে ইসরায়েল। কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে ইসরায়েলের প্রতিনিধিদল সুদানে পৌঁছেছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, খুব শিগগিরই আরব-নিয়ন্ত্রিত আফ্রিকার এই দেশটির সঙ্গে ইসরায়েল চুক্তি করতে পারে। বিশেষ করে ইসরায়েলি প্রতিনিধিদলের এই সফরে সেই সম্ভাবনা আরো বেড়েছে।
জানা গেছে, গত বুধবার তেল আভিভ থেকে একটি বিমান সুদানে যায়। বার্তা সংস্থা এএফপি এবং আল-জাজিরা বিষয়টি বিভিন্ন সূত্র থেকে নিশ্চিত হয়েছে।
সুদান সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, সুদানের রাজধানী খারতুমে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল সফর করেছে। সুদানের ট্রানজিশনাল মিলিটারি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের সঙ্গে তারা কথা বলেছেন। 
সুদান ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ব্যাপারে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তবে কেউ মুখ খুলতে রাজি নন। 
 Source:   Al Jazira


Source: BD News 24X7


বাইডেনের ভোটারদের হুমকি দিচ্ছে ট্রাম্প সমর্থক উগ্রপন্থীরা



ঘটনার তদন্ত করছে এফবিআই : উগ্রপন্থীদের রক্ষায় রাশিয়া ও ইরানের দিকে অভিযোগের তীর। 

| যুগান্তর
নির্বাচনের মাত্র ১০ দিন বাকি থাকতে বিভিন্ন রাজ্যে  ডেমোক্রেট ভোটারদের হুমকি দিচ্ছে ট্রাম্প সমর্থক উগ্রপন্থীরা।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক শেতাঙ্গ উগ্রবাদী গোষ্ঠী প্রাউড বয়েজ হুমকি দিয়ে অনেক ইমেইল পাঠিয়েছে ডেমোক্রেট ভোটারদের। পেনসিলভানিয়া, আরিজোনা, আলাস্কা ও ফ্লোরিডায় পাঠানো

ওইসব ইমেইলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দেয়ার জন্য সতর্ক করে দেয়া হয়। ইমেইলে আরও উল্লেখ করা হয়, রহস্যজনক মেইল প্রেরণকারীর ভোটার হিস্ট্রিতে প্রবেশের সুযোগ আছে। যদি প্রেসিডেন্টকে ভোট না দেয়া হয় তবে তোমার ওপর আক্রমণ হতে পারে। দ্য হিল, এবিসি নিউজ।
এদিকে ডেমোক্রেট সমর্থকদের ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি দিয়ে পাঠানো এসব ইমেইল নিয়ে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন- এফবিআই। মার্কিন সরকার অবশ্য আগ বাড়িয়ে বলে দিয়েছে যে, হুমকি দিয়ে ইমেইল পাঠানোর পেছনে রাশিয়া ও ইরানের হাত থাকতে পারে।
বুধবার রাতে কর্মকর্তারা বলেন, ইরান ভুয়া ইমেইলের মাধ্যমে ভয় দেখিয়ে ও হুমকি দিয়ে ইমেইল পাঠিয়েছে। একই সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়, রাশিয়া ও ইরান ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করে ফেলেছে। এসব তথ্য আসন্ন নির্বাচনকে হুমকির মুখে ফেলার জন্য ব্যবহার করা হতে পারে।
ট্রাম্প সমর্থকদের পাঠানো ইমেইলগুলোর একটিতে লেখা ছিল, ‘আপনি নির্বাচনের দিন ট্রাম্পকে ভোট দেবেন। অন্যথায় আমরা আপনার ওপর হামলে পড়ব।’ ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, অসংখ্য ইমেইল পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ জন ছাত্রকেও মেইল পাঠানো হয়েছে।

মার্কিন সাইবার ও ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সির প্রধান ক্রিস ক্রেবস বলেন, ‘আপনার ভোটের গোপনীয়তা সংক্রান্ত ভুলপথে পরিচালিত ও হুমকি দিয়ে পাঠানো ইমেইল সম্পর্কে এজেন্সি অবগত আছে। আমরা যেটা স্পষ্ট করতে চাই তা হল অসত্যায়িত ও স্পর্শকাতর এসব দাবি আমলে নেবেন না।
নির্বাচনের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমেরিকান ভোটার মানে আপনিই হচ্ছেন শেষ ভরসা। সুতরাং তৈরি হোন, স্মার্ট ভোক্তা হোন এবং তথ্য শেয়ার করুন। সর্বোপরি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ভোট দিন।’ বিভিন্ন রাজ্যের কর্মকর্তারাও জানিয়েছেন যে ইমেইল সম্পর্কে তারা সচেতন আছে।
এফবিআই’র পাশাপাশি ফ্লোরিডার শেরিফরাও ইমেইলে হুমকি পাঠানোর বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। তারা বলছে, এসব ইমেইল সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থেকে পাঠানো হয়ে থাকতে পারে। পাঠানো ইমেইল প্রাউড বয়েজের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও গ্রুপটির কর্তৃপক্ষ এমন ইমেইল পাঠানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
প্রাউড বয়েজের ইন্টারন্যাশনাল চেয়ারম্যান এনরিক ট্যারিও বলেন, ‘কোনোভবেই এমন কর্মকাণ্ডের পেছনে আমরা নেই।’ তার দাবি প্রাউড বয়েজ এ ধরনের গণইমেইল ও গণবার্তা প্রদান পদ্ধতি ব্যবহার করে না। এমনকি আমরা নিজেদের মধ্যেও এমনটি করি না।

 সুত্রঃ  যুগান্তর


বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২০

এরদোগানের জনপ্রিয়তা বাড়ছে মধ্যপ্রাচ্যে



আরব শাসকদের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও দেশগুলোর সাধারণ জনগণের মাঝে হু হু করে জনপ্রিয়তা বাড়ছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোগানের। অতি সম্প্রতি প্রকাশিত আরব জনমতের ওপর একটি ব্যাপক-ভিত্তিক জরিপের ফলাফলের বরাত দিয়ে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করেছে। খবর বিবিসির।

এতে বলা হয়, মিসরকে সঙ্গে নিয়ে উপসাগরীয় অধিকাংশ আরব দেশ তুরস্ককে কোণঠাসা করার উপায় খুঁজতে তৎপর হলেও সিংহভাগ আরব জনগণ মনে করছে এরদোগানই তাদের সবচেয়ে বড় শুভাকাঙ্ক্ষী। তুরস্ক এবং প্রেসিডেন্ট এরদোগানের ব্যাপারে আরব দেশের সরকার ও জনগণের এই বিপরীত অবস্থান উন্মোচিত হয়েছে ওই জরিপের ফলাফলে। আরব বিশ্বের ১৩টি দেশে পরিচালিত হয় এই জনমত জরিপ। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৫৮ শতাংশই মনে করেন, অন্য যে কোনো দেশের নীতির তুলনায় তুরস্কের মধ্যপ্রাচ্য-নীতি আরব স্বার্থের পক্ষে। ফিলিস্তিন ইস্যু তো বটেই, এমনকি সিরিয়া এবং লিবিয়ায় তুরস্কের বিতর্কিত সামরিক হস্তক্ষেপও সিংহভাগ আরব জনগণ সমর্থন করছে। তুরস্কের পর চীন ও জার্মানির মধ্যপ্রাচ্য নীতির প্রতি আরবদের মনোভাব সবচেয়ে ইতিবাচক। চীনের নীতির প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন ৫৫ শতাংশ, আর জার্মানির নীতির পক্ষে ইতিবাচক মতামত দেন ৫২ শতাংশ উত্তরদাতা। উল্টোদিকে, সবচেয়ে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পেয়েছে আমেরিকার মধ্যপ্রাচ্য-নীতির ব্যাপারে।

এশিয়া ও আফ্রিকায় আরব বিশ্বের ১৩টি আরব রাষ্ট্রে বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ইস্যুতে সাধারণ আরব জনগণের মনোভাব জানতে এই জরিপটি করেছে দোহা এবং বৈরুতভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ‘আরব সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি স্টাডিজ’। লন্ডনে রাজনৈতিক ঝুঁকি সম্পর্কিত গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারেস্টের প্রধান এবং মধ্যপ্রাচ্য রাজনীতির বিশ্লেষক সামি হামদি মনে করেন, তুরস্ক রাষ্ট্রের চেয়ে ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট এরদোগান যে সাধারণ আরব জনগণের বিরাট একটি অংশের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছেন, তা নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। তিনি বলেন, ‘সন্দেহ নেই তুরস্কের গ্রহণযোগ্যতা, বিশেষ করে সাধারণ প্রান্তিক আরব জনগোষ্ঠীর কাছে, বাড়ছে। এবং গ্রহণযোগ্যতা বাড়ার পেছনে তুরস্ক রাষ্ট্রের চেয়ে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের ভাবমূর্তি প্রধান ভূমিকা রাখছে।’