ঘটনার তদন্ত করছে এফবিআই : উগ্রপন্থীদের রক্ষায় রাশিয়া ও ইরানের দিকে অভিযোগের তীর।
| যুগান্তর
নির্বাচনের মাত্র ১০ দিন বাকি থাকতে বিভিন্ন রাজ্যে ডেমোক্রেট ভোটারদের হুমকি দিচ্ছে ট্রাম্প সমর্থক উগ্রপন্থীরা।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক শেতাঙ্গ উগ্রবাদী গোষ্ঠী প্রাউড বয়েজ হুমকি দিয়ে অনেক ইমেইল পাঠিয়েছে ডেমোক্রেট ভোটারদের। পেনসিলভানিয়া, আরিজোনা, আলাস্কা ও ফ্লোরিডায় পাঠানো
ওইসব ইমেইলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দেয়ার জন্য সতর্ক করে দেয়া হয়। ইমেইলে আরও উল্লেখ করা হয়, রহস্যজনক মেইল প্রেরণকারীর ভোটার হিস্ট্রিতে প্রবেশের সুযোগ আছে। যদি প্রেসিডেন্টকে ভোট না দেয়া হয় তবে তোমার ওপর আক্রমণ হতে পারে। দ্য হিল, এবিসি নিউজ।
এদিকে ডেমোক্রেট সমর্থকদের ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি দিয়ে পাঠানো এসব ইমেইল নিয়ে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন- এফবিআই। মার্কিন সরকার অবশ্য আগ বাড়িয়ে বলে দিয়েছে যে, হুমকি দিয়ে ইমেইল পাঠানোর পেছনে রাশিয়া ও ইরানের হাত থাকতে পারে।
বুধবার রাতে কর্মকর্তারা বলেন, ইরান ভুয়া ইমেইলের মাধ্যমে ভয় দেখিয়ে ও হুমকি দিয়ে ইমেইল পাঠিয়েছে। একই সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়, রাশিয়া ও ইরান ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করে ফেলেছে। এসব তথ্য আসন্ন নির্বাচনকে হুমকির মুখে ফেলার জন্য ব্যবহার করা হতে পারে।
ট্রাম্প সমর্থকদের পাঠানো ইমেইলগুলোর একটিতে লেখা ছিল, ‘আপনি নির্বাচনের দিন ট্রাম্পকে ভোট দেবেন। অন্যথায় আমরা আপনার ওপর হামলে পড়ব।’ ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, অসংখ্য ইমেইল পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ জন ছাত্রকেও মেইল পাঠানো হয়েছে।
মার্কিন সাইবার ও ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সির প্রধান ক্রিস ক্রেবস বলেন, ‘আপনার ভোটের গোপনীয়তা সংক্রান্ত ভুলপথে পরিচালিত ও হুমকি দিয়ে পাঠানো ইমেইল সম্পর্কে এজেন্সি অবগত আছে। আমরা যেটা স্পষ্ট করতে চাই তা হল অসত্যায়িত ও স্পর্শকাতর এসব দাবি আমলে নেবেন না।
নির্বাচনের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমেরিকান ভোটার মানে আপনিই হচ্ছেন শেষ ভরসা। সুতরাং তৈরি হোন, স্মার্ট ভোক্তা হোন এবং তথ্য শেয়ার করুন। সর্বোপরি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ভোট দিন।’ বিভিন্ন রাজ্যের কর্মকর্তারাও জানিয়েছেন যে ইমেইল সম্পর্কে তারা সচেতন আছে।
এফবিআই’র পাশাপাশি ফ্লোরিডার শেরিফরাও ইমেইলে হুমকি পাঠানোর বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। তারা বলছে, এসব ইমেইল সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থেকে পাঠানো হয়ে থাকতে পারে। পাঠানো ইমেইল প্রাউড বয়েজের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও গ্রুপটির কর্তৃপক্ষ এমন ইমেইল পাঠানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
প্রাউড বয়েজের ইন্টারন্যাশনাল চেয়ারম্যান এনরিক ট্যারিও বলেন, ‘কোনোভবেই এমন কর্মকাণ্ডের পেছনে আমরা নেই।’ তার দাবি প্রাউড বয়েজ এ ধরনের গণইমেইল ও গণবার্তা প্রদান পদ্ধতি ব্যবহার করে না। এমনকি আমরা নিজেদের মধ্যেও এমনটি করি না।
সুত্রঃ যুগান্তর
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন